প্রথমত হিজামা হলো সুন্নাহ ট্রিটমেন্ট।

হিজামা (حِجَامَة ) শব্দের অর্থ চোষা বা টেনে নেওয়া, আধুনিক পরিভাষায় Cupping (কাপিং)। হিজামার মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত রক্ত (Toxin) বের করা হয়। এতে শরীরের মাংসপেশী সমূহের রক্ত প্রবাহ দ্রুততর হয়। ফলে শরীরের ভিতরের অরগান সমূহের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর সতেজ ও শক্তিশালী হয়।

পেশী, চামড়া, ত্বক প্যারালাইসিস, স্টোক, বাত ব্যথা, ডায়াবেটিস সহ অনেক রোগের চিকিৎসা হিজামার মাধ্যমে করা হয় । 

হিজামা শরীরের একটি বেসিক মেকানিজম তৈরি করে।এন্ডোজেনাস নাইট্রিক অক্সাইড পাথওয়েকে বুস্ট করে দেয়।এই Nitric Oxide কেই বিজ্ঞানীরা মিরাকল মলিকিউল বা হিলিং মলিকিউল বলে।

যে কোন ডিজিজের নাম এর সাথে লিখে Google  এ সার্চ করলেই  প্রুভ পেয়ে যাবেন।

হিজামাতে যে লাইট বা হালকা কাটা হয় এতে ক্যাপিলারি ইনজুরি হয়,তখনই ক্যাপিলারির এন্ডেথেলিয়া থেকে  Nitric Oxide  গঠিত হয়। 

প্রথমত জানা প্রয়োজন কেনো এই দাগ হয়?

হিজামা করানোর সময় কাপের মাধ্যমে নেগেটিভ সাকশান দেয়া হয়। এর কারনে টিস্যুতে হাইপারেমিয়া হয়। এই হাইপারেমিয়া মানে হচ্ছে এখানের রক্তনালীগুলো প্রসারিত হয়ে যায়। আর একারনেই যেখানে কাপ বসানো হয় ত্বকের সেই  অংশগুলো লালচে হয়ে থাকে।

এই দাগ সাধারণত ৭/১০ দিনের মধ্যেই চলে যায়। কারো ক্ষেত্রে সময়টা কম বা কারো ক্ষেত্রে এই একটু বেশী লাগতে পারে।

এইটা নির্ভর করে রোগ বা সমস্যার উপর, আপনার সমস্যা অনুযায়ী থেরাপিস্ট জানাবে কতগুলো পয়েন্ট কাপিং করা লাগবে।

প্রতিটি পয়েন্টে কাপিং এর জন্য /১২০ টাকা খরচ লাগতে পারে।